রুশ সম্পদ দখল করায় পশ্চিমাদের সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এটিকে ‘চুরি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর পরিণতি ভুগতে হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেছেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

এর আগে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে মস্কোর জব্দকৃত সম্পদ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার কিয়েভকে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে জি-সেভেনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ইতালিতে শুরু হওয়া শীর্ষ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেন জোটের নেতারা।

এই অর্থ বছরের শেষ নাগাদ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসাবে দেখা হচ্ছে এই পদক্ষেপকে। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জি-৭ দেশগুলো রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। রাশিয়ার এই সম্পদ থেকে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। জি-৭ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হবে ইউক্রেনের জন্য। প্রতিবছর যে ৩ বিলিয়ন ডলার সুদ আসবে তা দিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হবে।

এছাড়াও ইতালিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জো বাইডেন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদী একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যাকে কিয়েভ ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছে।